Sunday, August 11, 2013

সৌরভকে একটু সুযোগ দিন



চার ফুট রাস্তার একপাশে মসজিদ,
অন্যপাশে একটি হাসনাহেনার ঝোঁপ।
হাসনাহেনার ঝোঁপটি পুবে-পশ্চিমে-উত্তরে
           বাড়ে বাধাহীন।
দক্ষিণে একটু বাড়লেই
কে বা কারা কচি পাতা ছিঁড়ে ফেলে,
নরম ফুলের গুচ্ছ ছিঁড়ে ফেলে,
           ফুলকলি ছিঁড়ে ফেলে।
যেন বাগানের সীমা
একটু পেরোলেই অপরাধ হবে।
রাস্তার ওপরে পড়ে থাকা পাতা,
পুষ্পগুচ্ছ, ফুলকলি আমাকে খুব আহত করে।
যেতে যেতে আমি একেবারেই অনাক্রমণাত্মক চালে
            মৃদু কণ্ঠে মুসুল্লীগণকে বলি,
হাসনাহেনার দুলন্ত ডাল, পুষ্পগুচ্ছ,
     ফুলকলি ছিঁড়বেন না।
     শরীর ওদের হালকা,
     স্পর্শে কোনো সমস্যা হবে না।

অনুগ্রহ করে সৌরভকে একটু সুযোগ দিন।

উঁকি দিচ্ছে আলোর এন্টেনা



অনেক দিন তো ছিলাম
     প্রগাঢ় অন্ধকারের জিম্মি।
পাঁজর ফাটিয়ে ফুটছে আলোর কমলঃ
     পাঁপড়ি তার অমলিন-নিদাগ-অমল।
বুকের চাতালে নাচছে যেন
     আনসিনেমার নৃত্যপরা নিম্মী।

খুলির ভিতরে তিমির কর্দমে
     উঁকি দিচ্ছে আলোর এন্টেনা।
করোটির আঙিনায়
     ভরা পূর্ণিমায় ফুটছে
          সুগন্ধি ল্যান্টানা।