পৌষে-মাঘে সে একেবারেই
বাংলার সাদাসিধা আটপৌরে নারীর মতোই
নিরালঙ্কার নিরাভরণ থাকে।
ফাল্গুনে যখন ভাঁটবনে
বসন্ত উদযাপনের সাজসাজ রব পড়ে,
তখন ভুলেও কেউ তার দিকে তাকিয়ে দেখে না।
পৌষে-মাঘে সে একেবারেই
বাংলার সাদাসিধা আটপৌরে নারীর মতোই
নিরালঙ্কার নিরাভরণ থাকে।
ফাল্গুনে যখন ভাঁটবনে
বসন্ত উদযাপনের সাজসাজ রব পড়ে,
তখন ভুলেও কেউ তার দিকে তাকিয়ে দেখে না।
হালকা বাদামী রঙের কয়েকটা কাঠি
ধরে রাখে ধুলালাগা পাতার অত্যল্প আয়োজন।
বসন্তের বিচিত্র রঙ-রূপের জমজমাট মীনাবাজারে
কে তার খবর রাখে ভালোবেসে!
তার নেই গোলাপের উদ্ধত জৌলুস।
পঙ্কজ পদ্মের রাজসিক সৌকর্য-বিলাস নেই তার।
শিমুলের প্রদর্শনকামিতাও নেই তার ধাতে।
বৈশাখের বেলী গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহেও মানেনা পরাভব।
প্রখর রোদের নিপীড়ন নির্বিবাদে,
সয়ে যায় বেলীর বিকাশমান কুঁড়ি।
দুরন্ত তুফান আমডাল দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে
ছুঁড়ে মারে তার দিকে।
হারায় না বৃষ্টিধারায় তার ঋতুর দায়জ্ঞান।
দেমাগ দেখিয়ে কখনো কাউকে হতচকিত করে না বৈশাখের বেলী।
সুমিষ্ট খুসবুতে আঙিনা মাতিয়ে নিঃশব্দে হৃদয়ে
ঠাঁই করে নেয় বৈশাখের প্রস্ফুতিত বেলী।
পুষ্পপ্রেমিকের দিকে নিরবে তাকিয়ে
বৃষ্টিভেজা নেকাবের নিচে চুপিচুপি মুচকি হাসে
শরমিন্দা শাহজাদি, শ্বেতবসনা অপ্সরী।
No comments:
Post a Comment